কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন বর্তমান সময়ে আমাদের আশেপাশে এসব অনেক ধরনের ঘাস রয়েছে যা ঔষধি উপকরণে ভরপুর। আপনি যদি কানাই ঘাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন কানাই ঘাসের কি কি উপকারিতা রয়েছে।
পেইজ সূচিপত্রঃ কানাই ঘাসের ১২ টি উপকারিতা
- কানাই শাক
- কানাই ঘাসের উপকারিতা
- কানাইয়া ঘাসের বিভিন্ন ধরনের নাম
- কানাইয়া ঘাস কোন কোন দেশে পাওয়া যায়
- কানাইয়া ঘাসের বৈশিষ্ট্য
- কানাইয়া ঘাসের রস তৈরির নিয়ম
- কানাইয়া ঘাস বাতের ব্যথা দূর করে
- কানাইয়া ঘাস খুসখুসে কাশি দূর করে
- কানাইয়া ঘাস গিরায় গিরায় ব্যথা দূর করে
- কানাইয়া ঘাস মাথা ব্যাথা দূর করে
- কানাইয়া ঘাস জ্বর দূর করে
- কানাই ঘাস খাওয়ার নিয়ম
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কানাই শাক
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাই শাক এমন এক ধরনের শাক যা মাঠে-ঘাটে জঙ্গলে বাড়ির পাশে রাস্তাঘাটে সব জায়গায় পাওয়া যায়। এই ঘাসের প্রচলনটা অনেক পরিমাণ বেশি বর্তমান সময়ে কানাই শাক বেশিরভাগ অংশেই গ্রামগঞ্জে দেখা যায় কানাইয়া ঘাসের পাতা ৪ ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে। এবং এই গাছ চারিদিকে লতাপাতার মতো ছিটিয়ে থাকে।
তবে একটি বেশ কার্যকরী কথা হচ্ছে কানাইয়া শাকের ভেতর দুটি পার্থক্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন দুইটার মধ্যে কোনটা খাওয়া যাবে। কানাইয়া ঘাস ক্ষেতে হয়ে থাকে আরেকটি রাস্তার ধারে অথবা গাছের গোড়ায় হয়ে থাকে। এর মধ্যে আপনি কানাইয়া ঘাস খেতে পারবেন যেটি ক্ষেতে হয়ে থাকে। কানাইয়া ঘাসের ফুলের রং ঘন নীল।
কানাই ঘাসের উপকারিতা
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাইয়া ঘাস বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ রয়েছে কিন্তু এই সঠিক ওষুধ গুনাগুন না জানার এটি কেউ ব্যবহার করতে চায় না। তবে কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা হচ্ছে এটি চোখের কোণে ফোড়া হওয়া শরীরের ভেতর খোকসি হওয়া হার্টের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য পাইরেস ইলেভেনিয়া হাড় গঠন রক্ত সঞ্চালন চুল পড়া এ সকল সমস্যা দূর করতে সক্ষম কানাইয়া ঘাস।
কানাইয়া ঘাসের বিভিন্ন ধরনের নাম
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাই ঘাসের নাম
- ঢোলপাতা
- কানসিরা-কানসিরা বেঙ্গল নাম হলো ( বেঙ্গল ডে ফ্লাওয়ার ) ( ট্যাপিকেল স্পাইডার ওয়ার্ড ) ( ওয়ান্ডারিং জিও )
- কানাইবাসী
- কানাইয়া
বৈজ্ঞানিক নামঃ কামেলিনা ব্যাঙ্গালোস্পিচ
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
কানাইয়া ঘাস কোন কোন দেশে পাওয়া যায়
কানাইয়া ঘাস কোন দেশে পাওয়া যায় নিচে দেওয়া হলো।
- বাংলাদেশ
- ভারত
- চীন
- নেপাল
তবে মজার বিষয় হলো এটি সবগুলো দেশেই কানাইয়া ঘাস একটি আগাছা
কানাইয়া ঘাসের বৈশিষ্ট্য
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাইয়া ঘাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট সোডিয়াম ম্যাগনেট খনিজ ভিটামিন বি। কানাইয়া ঘাস বেশিরভাগ অংশই ক্ষেত হয়ে থাকে এই গাছটি লম্বায় দুই থেকে তিন ফুট হয়ে থাকে। এর পাতা লম্বা স্বরূপ এবং কানাই ঘাসের ফুলের রং ঘন নীল। এটি খুব দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে দো-আঁশলা মাটিতে কানাইয়া ঘাস খুব তাড়াতাড়ি জন্ম নেয়।
কানাইয়া ঘাসের রস তৈরির নিয়ম
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাইয়া ঘাসের রস তৈরির জন্য প্রথমত আপনাকে কানাইয়া ঘাসের পাতা গুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব সুন্দর করে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া হয়ে গেলে ব্যালেন্ডারে এটি খুব সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর এটি থাকনি দিয়ে থেকে নিতে হবে তাহলে তৈরি হয়ে যাবে কানাইয়া ঘাসের রস।কানাইয়া ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকায় এটি রস করে খেলে।আপনার দেহের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন এবং আপনার দেহের হাড় গঠনে সহায়তা করবে। কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এই ঘাসে ক্যালরি কার্বোহাইড্রেট সোডিয়াম খনিজ থাকায় এটি যদি আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার খান। তাহলে আপনার পরিরে ছোটখাটো রোগ ব্যাধি দেখা দিবে না আপনি সুস্থ এবং ফিট থাকবেন। এখন থেকে প্রতিদিন সকালে কানাইয়া ঘাসের রস খাবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
কানাইয়া ঘাস বাতের ব্যথা দূর করে
কানাইয়া ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন কানাইয়া ঘাস বাতের ব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের বাতের ব্যথা নিয়ে ভুগছেন। কিন্তু আর এখন ভোগান্তি নয় আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস করে কানাইয়া ঘাসের রস খাবেন অথবা কানাইয়া ঘাসের শাক খাবেন। এতে আপনার বাতের ব্যথা দূর হবে এবং আপনার শরীরে অন্য কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেটিও দূর হবে। তাহলে এখন থেকে প্রতিদিন কানাইয়া ঘাসের রস অথবা শাক খেতে হবে।
কানাইয়া ঘাস খুসখুসে কাশি দূর করে
কানাইয়া ঘাসে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রিক এসিড থাকাই এটি আপনার খুশখুসে কাশি দূর
করতে বেশ কার্যকর। বিভিন্নভাবে আপনার যদি ঠান্ডা লাগে অথবা বৃষ্টিতে ভেজার কারণে
আপনার খুসখুসে কাশি হয়েছে। তবে এই কাশি থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনাকে
কানাইয়া ঘাসের রস খেতে হবে। এতে আপনার খুব দ্রুত খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি
পাবেন। এবং আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
কানাই ঘাস গিরায় গিরায় ব্যথা দূর করে
কানাইয়া ঘাস গিরায় গিরায় ব্যথা দূর করে এটি সত্য কথা কানাইয়া ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকায় সেদ্ধ করে অথবা কানাইয়া ঘাসের রস খেয়ে আপনার হাঁটু অথবা শরীরের হাড়ের গিরায় গিরায় ব্যথা দূর করতে পারবেন। কানাইয়া ঘাস খেলে দিয়ে আপনার গিরার ব্যথা দূর হবে অন্যদিক দিয়ে আপনার শরীরের হাড় মজবুত হবে। তাই এখন থেকে প্রতিদিন কানাইয়া ঘাসের রস খাবার চেষ্টা করবেন।
কানাইয়া ঘাস মাথাব্যথা দূর করে
কানাইয়া ঘাস মাথাব্যথা দূর করতে সক্ষম কানাইয়া ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকায় এটি আমাদের ব্রণ কে স্রাব করে। এবং আমাদের মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কোন রকম টেনশন মুক্ত ছাড়া একজন ব্যক্তি যদি কানাইয়া ঘাস অথবা কানাইয়া ঘাসের শাক খেয়ে থাকে তবে তার মাথাব্যথা দূর হবে। আজ অনেক ঠান্ডা প্রকৃতির একটি শাক।
কানাইয়া ঘাস জ্বর দূর করে
কানাইয়া ঘাস জ্বর দূর করতে সক্ষম এটি মোক্ষম উপায় একজন ব্যক্তি যখন জ্বরে আক্রান্ত হয়। তখন তার মুখে রুচি নেই বললেই চলে এই সময় মুখে রুচি আনার জন্য এবং শরীরের জ্বর দূর করার জন্য কানাইয়া শাক খেতে হবে। কিন্তু এটি রান্নার ধরন হবে এমন যে কানাইয়া শাক পর্যাপ্ত পরিমান ঝাল দিতে হবে এতে জ্বর আক্রান্ত রোগীর মুখে রুচি ফিরে আসবে এবং জ্বর মুক্ত হবে।
কানাই ঘাস খাওয়ার নিয়ম
কানাইয়া ঘাস খাওয়ার নিয়ম এটা অনেকে জানে আবার অনেকেই জানে না। কানাইয়া ঘাস
খাওয়ার মোক্ষম সময় হলো দুটি এর মধ্যে একটি রয়েছে রস করে খাওয়া এবং আর একটি
রয়েছে শাক করে খাওয়া। তবে আপনি যদি কানাইয়া ঘাসের রস খেতে চান সেই
ক্ষেত্রে আপনাকে সকালে এটি রস খেতে হবে। আপনি যদি কানাইয়া ঘাসের শাক খেতে চান
তাহলে সকাল দুপুর রাত এই তিনটি সময় খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ দুর্বা ঘাসের উপকারিতা ও অপকারিতা
লেখকের শেষ মন্তব্য
কানাইয়া ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম খনিজ ভিটামিন বি থাকে। যা আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা জোর বাতের ব্যথা খুশখুসে কাশি মাথাব্যথা ইত্যাদি দূর করতে সক্ষম। তাহলে আজকে থেকে অবশ্যই কানায় ঘাসের রস অথবা শাক খাবেন। এতক্ষণ আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পোস্ট পেতে আমাদের পাওয়ার আইটিসি ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url