নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করনীয়

গর্ভধারণ করলেই যে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ খাবার খেতে হবে বিষয়টা এমনটা নয়। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন এবং নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু করণীয় সম্পর্কে জানতে নিম্নে লিখিত পোস্টটি পড়ুন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করনীয়

পেইজ সূচিপত্রঃ নরমাল ডেলিভারি করানোর সহজ ২১ টি উপায়💁

নরমাল ডেলিভারি💁

নরমাল ডেলিভারি করার জন্য আপনার শারীরিক ওজন কম থাকতে হবে। একটা মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন থেকে তাকে তৈরি হতে হয় যে আমি নরমাল ডেলিভারি প্রসেস এ যাব। শুয়ে বসে থেকে নরমাল ডেলিভারি হবে এটা ভুল ধারণা। আপনাকে আপনার সংসারের স্বাভাবিক কাজ গুলো করতে হবে। সকালে আধাঘন্টা হাটা এবং সকালের নাস্তা ৮ টায় করতে হবে। দুপুরে দুই ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে রাতে নয় টা থেকে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তাহলে আপনার নরমাল ডেলিভারি হবার সম্ভাবনা অধিকাংশ বেড়ে যাবে

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া💁

নরমাল ডেলিভারি করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই খাবারের তালিকায় রয়েছে খেজুর, চিকেন সুপ, দই, মিষ্টি আলু, বাদাম ও বীজ, আমন্ড বাদাম, কলা আপেল, কমলা, আনার। এ সকল খাবারে রয়েছে আয়রন ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি ও ফাইবার, জিং, ফলেট, বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবারগুলি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তার পাশাপাশি ১৮ থেকে ২০ গ্লাস পানি আপনাকে খেতে হবে তা আপনার হরমোন ব্যালেন্স করবে এবং বাচ্চার গ্রোথ নিয়ন্ত্রণ করবে।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ💁

গর্ভাবস্থায় গর্ভের মোট সময় কাল ধরা হয় চার সপ্তাহ ২৮০ দিন অর্থাৎ ৯ মাস ৯ দিন গর্ভাবস্থায় যদি আপনার লাইট্রেনিং অনুভব হয় তাহলে মনে করবেন শিশু নিম্ন ভাগে চলে আসা বুকের হাড়ের নিচের চাপ কমে যাওয়া। ঘন ঘন তীব্রমাত্রা হওয়া ক্রাক্সটন হিকস কনস্টাকশন বা ফলস লেবার পেইন এবং আপনি টি ল্যাবর অনুভব হবে। প্রিল্যাবরের সারভিক্স বা জরায়ুর মুখ পাতলা হবে এর সাথে কিছু কিছু নারীর পিরিয়ডের মত ত্রমক হতে পারে।
ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ যখন খুব কাছে চলে আসে তখন আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারের থেকে যৌনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন সারভিক্স এসেসমেন্ট এবং ডায়ালেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিনা। যদি সারভিক্স এফেস এবং ডায়ালেট হচ্ছে তাহলে যোনি থেকে মিউকাস প্লাগ বের হতে পারে। গর্ভাবস্থায় সাভিকাল ক্যানেল জমাট করে রাখে প্রসাবের আগ মুহূর্তে এটি বের হয়ে আসে। সারভিক্স কোমল হলে জনী স্রাব বের হতে পারে।
আসল প্রস্রাব নিয়মিত বিরতিতে হয় এবং ধীরে ধীরে সংগঠনের মাত্রা বাড়ায়। সংকোচন প্রতিটি সংকোচন ৩০ থেকে ৭০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে একই সাথে সংকোচন পেছন থেকে সামনে চলে আসে। আপনি হাটা-বসা যেভাবে থাকুন না কেন আপনার সংকোচন এর মাত্রা বাড়তে থাকবে। এইসব লক্ষণ দেখা দিলে আপনি হাসপাতালে গিয়ে আপনার নরমাল ডেলিভারি করিয়ে নিতে পারেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময়💁

যোনি থেকে যখন আপনার মিউকাস প্লাগ বের হতে থাকবে এবং ঘন ঘন রক্তচাপ বাড়বে এর পাশাপাশি সংকোচন ব্যথা প্রচুর পরিমাণ বাড়বে প্রতি সংকোচন এক মিনিট থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ দেড় মিনিট পর্যন্ত হবে। এই সময় কালকে নরমাল ডেলিভারির সময় ধরা হয়।

বাচ্চা ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়💁

নরমাল ডেলিভারির জন্য পারফেক্ট কোন ব্যবস্থা নেই তবে একটি কথা নিশ্চিত যে ৯ মাসে আপনার বাচ্চার ওজন যতটুকু পরিমাণ হবার প্রয়োজন ততটুকু পরিমাণ হলে চলবে। এর কম হলে কোন সমস্যা নেই অর্থাৎ ১.৮ কেজি ২ কেজি ৪ কেজি কোন বাধা নয়। সময়ের সাথে আপনার বাচ্চার ওজন ঠিক থাকলে নরমাল ডেলিভারি করতে পারবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম💁

নরমাল ডেলিভারির ব্যায়াম দুই প্রকার একটি হল ব্লাডিন ব্যায়াম আরেকটি হলো ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম ফিজিক্যাল ব্যায়াম এবং ইয়োগা ব্লাডিং ব্যায়াম হলো বসে থেকে লম্বা করে শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে করে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই ব্লাডিং ব্যায়াম নরমাল ডেলিভারি করার জন্য আপনি সকাল বিকেল দশবার করে করবেন। ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম হচ্ছে আপনারা সবাই পড়াশোনা করছেন স্কুলে ছোটবেলায় আপনাদের পিটি করানো হতো ওই ব্যায়ামটা করতে হবে।
অর্থাৎ হাত উঁচু করে নিচে আনা হাত পিছনে সামনে নেওয়া এই নরমাল ব্যায়ামটা করতে পারেন। এতে আপনার নরমাল ডেলিভারি হওয়াটা স্বাভাবিক হবে।সকালে বিকেলে হাটাহাটি করা কিসস্কোয়াটিং পোজিসন ডার্কওয়াক অথবা ফ্লগওয়াক পজিশন বসে থেকে সার্কেলিং করা এবং সুইমিং এই চারটি ব্যায়াম আপনার নরমাল ডেলিভারির জন্য বেশ কার্যকর ব্যায়াম গুলো করার আগে অবশ্যই আপনি আরামদায়ক পোশাক পরিধান করবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য কোন পজিশন ভালো💁

বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য বাচার মাথা নিচের দিকে থাকতে হবে এটা কে বলা হয় ক্যাফেলিট পেজেন্টেসন বাচ্চার মাথা নিচের দিকে থাকলে নরমাল ডেলিভারি করা খুব সহজ

নরমাল ডেলিভারির ব্যথা কেমন💁

নরমাল ডেলিভারি হবার আগে গর্ভবতী মায়ের পেট শক্ত হয়ে যাবে এবং এর সাথে পেটে প্রস্রাব এর ব্যথা থেমে থেমে হবে। ব্যথাটা পিছন দিক থেকে আসবে এবং যৌনিপদ থেকে বীর্য বের হবে বীর্য টা রং পিং কালার অথবা কোন রং ছাড়া হতে পারে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে নিকটবর্তী ডাক্তারের কাছে যোগাযোগ করে নরমাল ডেলিভারি করিয়ে নিতে পারেন।

নরমাল ডেলিভারির জন্য কি করতে হবে💁

নরমাল ডেলিভারি করার জন্য গর্ভবতী মাকে সচেতন থাকতে হবে ভারী কিছু তোলা যাবে না ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে আপনার লাঞ্চ এর ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন এবং আপনার মনকে শক্ত করতে হবে। এগুলা করলে আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করনীয়

নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয়💁

সাধারণত ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহ মধ্যে ডেলিভারি হলে তাকে নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রস্রাব বলা হয়। এই ৩৭ সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ সপ্তাহের যে কোন সপ্তাহে মধ্য শিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে স্বাভাবিক বলা হয়।

কত বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব💁

এই উত্তর নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয় এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর সুস্থতা বিবেচনা করে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব। তবে এটি প্রথম বার গর্ভধারণ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাধারণভাবে ১৯ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব।

নরমাল ডেলিভারি হবার পর কতদিন লাগে সুস্থ হতে💁

একদম গর্ভবতী মা প্রস্রাব করার পর তার শরীরের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ক্যালসিয়াম মিনারেল আমিষ হরমোন সাইট লো ইমিউনিটি এ সকল কিছুর অভাব দেখা দেয়। তাই এ সকল ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন ফলমূল শাক-সবজি দুধ ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। নরমাল ডেলিভারি হবার পরে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় লাগে পুরোপুরি সুস্থ হতে তবে যদি ওই গর্ভবতী মা শরীর ভিটামিন এর অভাব পূরণ সময় মত না হয় সেই ক্ষেত্রে ২-৪ মাসের অধিক সময় লাগতে পারে।

নরমাল ডেলিভারি হবার কতদিন পর সহবাস করা যায়💁

নরমাল ডেলিভারি করলে যৌনি পথের সিজরিয়ান কেটে দেয়। এক্ষেত্রে সহবাস খুব দ্রুত করা যাবে না সিজরিয়ান পুরোপুরিভাবে ঠিক হতে প্রায় এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। এই সকল দ্বীপ বিবেচনা করে নরমাল ডেলিভারির দুই মাস পর আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপে যাওয়া💁

গর্ভকালীন একজন মাকে ৮ বার চেকআপ করানো উচিত বেশি গুরুত্বপূর্ণ চেকআপ করতে হবে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে। ৮ কোন কারণবশত যদি ৮ বার চেকআপ না করাতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৪ বার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ১৬ সপ্তাহের পরে ২৪ সপ্তাহে একটি চেকআপ ৩২ সপ্তাহে ৩৪ সপ্তাহে ৩৬ সপ্তাহে এরপর ৪০ সপ্তাহে মধ্যে যদি বাচ্চা না হয় সেই ক্ষেত্রে ৪১ সপ্তাহের আবার চেকআপ করাতে হবে।

সঠিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা💁

সঠিক মাত্রায় ওজন হবে ২.৫ - ৪ অর্থাৎ ২ কেজি থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত এর সাথে নবজাতকের মাথার পরিধি রেকর্ড করা প্রযোজ্য। ২ কেজি অথবা ৪ কেজি নবজাতকের মাথার পরিধি ৩৫ সেন্টিমিটার ডেলিভারি হবার পর নবজাতক যদি সঠিকভাবে পুষ্টি পায় তাহলে শিশুর ওজন প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম বাড়তে থাকে।

মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকা💁

নরমাল ডেলিভারি করার সময় অনেক গর্ভবতী মা রয়েছে যারা প্রচুর পরিমাণ মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা করে এই সকল তিনটা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আপনি জানেন এখন অনেক এডভান্স প্রযুক্তি রয়েছে এবং অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। যারা কোন রকম ব্যথা অথবা সমস্যা ছাড়া নরমাল ডেলিভারির করিয়ে থাকেন। তাই নরমাল ডেলিভারি সময় মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকুন এবং আপনার নরমাল ডেলিভারি করান।

গর্ভাবস্থায় বিশেষ স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলা💁

গর্ভাবস্থায় বিশেষ স্বাস্থ্য পরামর্শ নয় কি উপায় ১ খাবার ২ ঘুম ৩ পরিছন্নতা ৪ পোশাক ৫ চলাফেরা ৬ চিকিৎসার টিকা ও ওষুধ ৭ মানসিক স্বাস্থ্য।

খাবার
শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে একজন গর্ভবতী মাকে ভিটামিন প্রোটিন মিনারেল ক্যালসিয়াম আয়রন ও আয়োডিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। এই সকল ভিটামিন পাবেন এমন খাবার মৌসুমী ফল, শাকসবজি,, ডাল বাদাম, মাছ, মাংস, ডিম, পাস্তারিত দুধ এবং এর সাথে দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খেতে হবে।

ঘুম
গর্ভবতী মায়ের রাতে ৮ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম এর প্রয়োজন এর সাথে দিনের বেলায় দুই থেকে এক ঘন্টা বিশ্রাম করতে হবে। এবং বিছানায় বাম হাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে।

পরিছন্নতা
সকাল এবং রাতে খাবার পর দুইবার করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত সাবান পানি অথবা স্যাভলন পানি দ্বারা গোসল করতে হবে।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করনীয়

পোশাক
গর্ভবতী মায়েদের এমন পোশাক পড়তে হবে যেন হাটা চলা ওঠা-বসা পোশাক খুলতে এবং খুলতে কোন অসুবিধা না হয়।

চলাফেরা
চিকিৎসকদের মতে গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস সাধারণ চলাফেরা করতে হবে। সবসময় বসে না থেকে একটু হাঁটা চলা করুন।

চিকিৎসা টিকা ও ওষুধ
আপনি যদি বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারকে। আপনার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ইতিহাস জানাবেন যেমন আপনি আগে কতবার গর্ভধারণ করেছেন। গর্ভপাত হয়েছে কিনা নবজাতকের মা বাবা অথবা পরিবারের কারো গুরুতর অসুস্থ আছে কিনা সেগুলো খুলে বলবেন। তাহলে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় টেস্ট টিকা ও ঔষধ খাবার পরামর্শ দিবেন।

কেগেল এক্সারসাইজ করা💁

কেগেল এক্সারসাইজ এর প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে। কেগেল এক্সারসাইজ মূলত দুই প্রকার একটি ইলেকট্র কেস যা দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আরেকটি পিভিসি এটা খুব অল্প পরিমাণ করলেই হবে। কেগেল এক্সারসাইজ অল্প পরিমাণে করলে এটির উপকার আপনি সারা জীবন ভোগ করতে পারবেন।

পেরিনিয়াল ম্যাসাজ💁

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার সুন্দর স্বাস্থ্যর জন্য পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেরিনিয়াল ম্যাসাজ এক সপ্তাহের একদিন পরপর করতে হয় দশ মিনিট করে পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করতে হবে। পেরিনিয়াল ম্যাসাজ এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন জীবাণুর হাত থেকে মুক্তি পাবেন। পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করার পর টিস্যু ব্যবহার ভালো করে হাত ধোয়া এবং গোসল করতে হবে। এরপর হাতের সামনের দই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে বসতে হবে।
অথবা শেয়ারের ওপর একটি পা রেখে পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করতে হবে। হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ওষুধ এক ফোঁটা নিয়ে তা ব্যাগ ফিঙ্গার দিয়ে আলতো করে পেরিনিয়াম মোট পাকিয়ে ভিজেন দিয়ে পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করতে হবে।

ব্যথা মুক্ত নরমাল ডেলিভারি💁

বর্তমান সময় গর্ভবতী নারীরা প্রচুর পরিমাণ ভয় করে থাকে যার কারণে নরমাল ডেলিভারি হয় না। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হবে নিজের মনোবল ঠিক রাখবেন আপনি যদি আতঙ্ক থাকেন ভয় করেন তবে আপনার গর্ভে থাকা সন্তান এর জন্য এটি মারাত্মক ব্যাধি। আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য এর নরমাল ডেলিভারির করার জন্য আপনাকে আপনার মনোবল ঠিক রাখতে হবে।

নরমাল ডেলিভারি করার পদ্ধতি💁

নরমাল ডেলিভারি যখন আপনি করতে যাবেন ডাক্তার দেখামুক্ত ডেলিভারি করিয়ে দিবে। ডাক্তার প্রথমে আপনাকে একটি ইনজেকশন দিবে এতে আপনার পেটের ব্যথা আগের থেকে অনেক কমে যাবে। এরপর আপনি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করবেন আপনার নরমাল ডেলিভারি হবার জন্য। এরপর পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে কোনরকম ব্যথা ছাড়া আপনি নরমাল ডেলিভারি করিয়ে নিতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা💁 নরমাল ডেলিভারি শেষ করণীয়

একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে বিভিন্ন নিয়ম কানুন এর মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এসব নিয়ম কানুন একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশ উপকারী। আপনি যখন গর্ভবতী হবেন তখন আপনাকে আপনার সন্তানের পুষ্টির জন্য এবং আপনার নরমাল ডেলিভারির জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম এক্সারসাইজ পুষ্টিকর খাবার ছোট খাটো কাজ করা। সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করা সময়মতো ঘুমানো এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকা এই সকল কিছু একজন গর্ভবতী মা মেনে চললে তার নরমাল ডেলিভারি করানো খুব সহজ।

যারা গর্ভবতী মা রয়েছেন তারা অবশ্যই উপরে দেওয়া নিয়মগুলো মেনে চলবেন তাহলে আপনার নরমাল ডেলিভারি খুব সহজে হবে এবং আপনি ব্যথা মুক্ত নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবেন এবং একটি সুস্থ সবল বাচ্চা জন্মগ্রহণ করাবেন। ওপরে লেখা পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটিতে একটি কমেন্ট করবেন এবং আপনার প্রতিবেশী সাথে শেয়ার করবেন।😍😍

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url